SSL কি? SSL কেন উপকারী? SSL কেনার আগে যে বিষয়গুলো না জানলেই নয়!

blog background image

SSL কী?

SSL (এসএসএল) হলো Secure Sockets Layer এর সংক্ষিপ্ত রুপ। SSL প্রযুক্তি মূলত ডেভলপ করে নেটস্কেপ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রাইভেট ডকুমেন্ট আদান প্রদানের জন্য SSL তৈরি করা হয়। জনপ্রিয় সকল ওয়েব ব্রাউজারই SSL সাপোর্ট করে এবং একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন ক্রেডিট কার্ড ইনফরমেশন, পাসওয়ার্ড) সুরক্ষার জন্য এসএসএলের ব্যবহার এখন খুবই জনপ্রিয়।

SSL এর মাধ্যমে মূলত ওয়েব সার্ভার (হোস্ট) এবং ওয়েব ব্রাওজার (ইউজার) এর মধ্যে একটি ইনক্রাপ্টেড কানেকশন স্থাপিত হয়। ফলে আপনি কোন ওয়েব সার্ভারের সাথে কানেক্টেড হলে তৃতীয় কোন ব্যক্তি আপনাদের কর্মকান্ড বুঝতে পারবে না। সেহেতু SSL আমাদের নিরাপত্তার জন্য খুব বেশি ভুমিকা রাখে।

what-is-ssl

SSL কীভাবে কাজ করে?

  1. যখন একটি ব্রাউজার SSL সার্টিফিকেট যুক্ত ওয়েব সার্ভারের সাথে কানেক্ট হতে চায়, তখন ব্রাউজার আগে নিজের পরিচয় ওযেব সার্ভারকে প্রদান করে
  2. তারপর ওয়েব সার্ভার ব্রাউজারকে তার ওয়েব সার্টিফিকেট পাঠায়
  3. তখন ব্রাউজার ওয়েব সার্ভারটি ট্রাস্টেড কিনা চেক করে এবং ওয়েব সার্ভারকে একটি মেসেজ পাঠায়
  4. তখন ব্রাউজার এবং ওয়েব সার্ভার ডিজিটাল এনক্র্যাপটেড ডাটা দেখায়
  5. এই সমযোতা শুধু মাত্র ওয়েব ব্রাউজার এবং ওয়েব সার্ভার নিজেদের মধ্যে ট্রাস্টেটভাবে ডাটা প্রদর্শন করে এবং ব্রাউজার ওয়েব সার্ভারের ডাটা সিকুইরড (Secured) সেটা দেখায়।

SSL সার্টিফিকেট এনাবেল ওয়েব সাইট চিনবেন কীভাবে?

SSL এনাবেল সাইট https (নট http) দিয়ে ইউআরএল (URL) শুরু হয়। সেহেতু https যুক্ত ওয়েব সাইট দেখলেই বুঝবেন সাইটটি SSL সার্টিফিকেড ভেরিফাইড। শেষ S দিয়ে আসলে সার্ভারটা যে সিকিউর (Secure) সেটা বুঝায়। (স্ক্রিনশট দিন একটি)

SSL সার্টিফিকেট থাকার উপকারিতাঃ

আপনার ওয়েব সাইটে SSL থাকার অনেকগুলো উপকার আছে। যেমন-

পার্সোনাল তথ্য প্রদানে কোন ভয় থাকে নাঃ

যেহেতু ওয়েবসাইটে সেনসেটিভ/ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ক্রেডিট কার্ড, ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড দিতে হয় আর এই তথ্যগুলো একাধিক পিসি পার হয়ে আপনার রিসিপ্যান্টের কাছে যায়, সেহেতু মধ্যে যদি কোন হ্যাকার ওৎ পেতে থাকে সেখেত্রে আপনার মূল্যবান তথ্য বা ব্যাংক ডিটেইলস্‌ তাদের কাছে চলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে SSL সার্টিফিকেট এনাবেল কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার তথ্য আদান প্রদান হলে ইন্টারনেটে এনক্রাপটেডভাবে শুধুমাত্র আপনি এবং রিসিপ্যান্টকে তথ্য দেখায়। বাকিদের আঁড়িপাতার কোন সুযোগ থাকে না এর মধ্যে।

➤ Read Also: How to install SSL in the domain through WHM?

SSL সার্টিফিকেটের মাধ্যমে তথ্য পাঠালে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে এটা আপনি এবং রিসপ্যান্ট ছাড়া অন্য কারও নজরে পড়ছে না।

SSL ট্রাস্ট বৃদ্ধি করেঃ

SSL ওয়েবসাইটের শুরুতে একটি গ্রিন সিগনাল দেয় যেটা ভিজিটরের মধ্যে সিকিউরিটির একটা বার্তা দিয়ে দেয়। তাছাড়া SSL এনাবেল ওয়েব সাইটে ফিশিং এটাক দিয়ে আপনার বা আপনার ভিজিটরের কোন তথ্য নিতে পারে না। সেহেতু এটা আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি ভিজিটরের বিশ্বস্ততা তৈরি হয়।

অঘোষিত ব্র্যান্ড প্রোমোটঃ

SSL যেহেতু ভিজিটরের ট্রাস্ট বৃদ্ধি করে, সেহেতু আপনার ব্র্যান্ড অটোমেটিক্যালি ভিজিটরকে আকর্ষন করবে। তথ্য প্রযুক্তি বিশেষঙ্গরা মনে করেন SSL কোন ডিজিটাল কোম্পানির অঘোষিত ব্র্যান্ড প্রমোট হিসাবে কাজ করে।

SSL কীভাবে SEO এর জন্য উপকারীঃ

SSL আপনার ওয়েব সাইট এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে সিকিউরিটি নিশ্চিত করে। অন্যদিকে গুগল সিকিউর সাইট পছন্দ করে। সেহেতু গুগল সিকিউরড্‌ সাইটকে র‍্যাঙ্কিং এ গুরুত্ব দেয় বা ভবিষতে আরও বেশি গুরুত্ব দিবে বলে গুগল অফিসিয়াল ঘোষণা দিয়েছে।

গুগলের ওয়েব মাস্টার এনালেটিস্ট ঘোষণা দেয়, 

"Over the past few months, we’ve been running tests taking into account whether sites use secure, encrypted connections as a signal in our search ranking algorithms. We've seen positive results, so we're starting to use HTTPS as a ranking signal." 

সেহেতু SSL সার্টিফাইড ওয়েবসাইট গুগল র‍্যাঙ্কিয়ে উপরের দিকে রাখবে। কোন ইফোর্ট ছাড়া এমন হেল্প গুগল থেকে পাওয়ার সুযোগ কে হাত ছাড়া করতে চায়?

why-need-ssl

অতিরিক্ত নিরাপত্তাঃ

SSL আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা হিসাবে কাজ করে। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট মেম্বারশীপ সাইট হিসাবে তৈরি করেন অথবা কোন ফর্মের মাধ্যমে ইউজার ডাটা নেন এবং আপনার ওয়েব পোর্টালে যদি SSL নিশ্চিত করা থাকে তাহলে তৃতীয় কোন ব্যক্তি সেই তথ্য জানতে পারবে না বা জানা সম্ভবও না।

SSL এর প্রকারভেদঃ

SSL বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। তবে ভেলিডেশনের উপর ভিত্তি করে SSL তিন ধরণের হয়ে থাকে। যেমন-

১. ডোমেইন ভেলিডেশন (Domain Validation)-

এ ধরণের SSL সাধারণত আপনার ইমেইল এড্রেস অথবা DNS Record এর উপর ভিত্তি করে ডোমেইন ভেলিডেট করে থাকে। মূলত ডোমেইন নেমেরে মালিক যে আপনি সেটার ভেলিডেশন করায় এটার কাজ।

➤ Read Also: How to install and manage a SSL for your site?

যাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দরকার পড়ে না তারা এই ধরণের SSL ব্যবহার করতে পারে এবং এটি বেশ চিপও বটে। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এটি একটিভ করা যায়।

২. প্রাতিষ্ঠানিক ভেলিডেশন (Organization Validation)

ই-কমার্স বা ব্যবসায়িক ওয়েব সাইটের জন্য এটায় সব থেকে কম দামের SSL সার্টিফিকেট। ডোমেইন ভেলিডেশন এবং অর্গানাইজেশন ভেলিডেশনের মধ্যে পার্থক্য হলো ডোমেইন ভেলিডেশন শুধুমাত্র ডোমেইন সার্টিফিকেশন দেয় অন্যদিকে অর্গানাইজেশন ভেলিডেশন প্রাতিষ্ঠানিক এড্রেস, লোকেশন সহ অন্যান্য বেশ কিছু ভেলিডেশন দেয়। সাধারণত ২-৩ দিন লাগে এটা ভেলিডেট করতে।

৩. এক্সটেনডেট ভেলিডেশন (Extended Validation)

যেইসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোন ট্রানজেকশন হয় সেখানে এক্সটেনডেট ভেলিডেশন খুবই গুরুত্বপুর্ণ। বেশিরভাগ ব্যাংক বা ফিন্যান্সিয়াল কর্মকাণ্ডে জড়িত প্রতিষ্ঠানরা এটা ব্যবহার করে এবং এটিই সবথেকে জনপ্রিয় বা বিশ্বস্ত গ্রিন সিগনাল প্রদান করে। সাধারণত ৭-১০ দিন সময় লাগে এই সেবা এক্টিভ করতে।

সিকিউর ডোমেইনের (সংখ্যার) উপর ভিত্তি করে আবার SSL কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন,

Single Name SSL certificate:

কেবল মাত্র একটি ডোমেইন এই SSL ভেলিডেট করতে পারে। কোন সাবডোমেইন এটা ভেলিডেট করতে পারে না।

Wildcard SSL Certificate:

এটি একটি ডোমেইনের আন্ডারে সকল সাবডোমেইনও ভেলিডেট করতে পারে।

যেমন, https://toshost.com

       https://my.toshost.com/

       https://status.toshost.com

Multi-domain SSL Certificate:

Multi-domain SSL Certificate একাধিক ডোমেইন এবং সাবডোমেইন সার্টিফাইড করতে পারে। যারা একসঙ্গে কয়েকটি বিজেনস অথবা ব্লগ চালান তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য।

কীভাবে আপনার ওয়েবসাইটে SSL ব্যবহার করবেনঃ

আপনার ডোমেইনে SSL ব্যবহার করতে হলে আপনি আপনার বা অন্য কোন ওয়েব হোস্ট প্রোভাডারের কাছ থেকে SSL কিনতে হবে। তারপর সেটা সিপ্যানেলের (cPanel) মাধ্যমে সেটাপ করতে হবে। সিপ্যানেল ছাড়াও আপনি জেডপ্যানেল (ZPane), ভিস্তাসিপি (Vesta Control Panel) বা ওয়েবুজোর (Webuzo) মাধ্যমেও SSL সেটাপ করতে পারবেন।

সিপ্যানেলের মাধ্যমে কীভাবে SSL ইনস্টল করবেন? (যদিও সবগুলার পদ্ধতি অনেকটা একরকম)

  • আপনার সিপ্যানেলে SSL অপশনে যান
  • তারপর প্রাইভেট কী সেটাপের প্রয়োজন পড়বে
  • এখন আপনাকে CSR (Certificate Signing Request) সেটাপ করতে হবে। এখান থেকে আপিন SSL ইস্যু করবেন।
  • এবার আপনার কেনা SSL কাস্টমার প্যানেলে লগইন করুন। এখানে আপনি CSR বের করতে পারবেন। তারপর CSR সাবমিট করলে আপনার ইমেইলে একটি লিঙ্ক যাবে সেটা ভেরিফাই করলেই সব কাজ কমপ্লিট।

(কখনও কখনও কোড ভেরিফিকেশন চাইতে পারে, সেখেত্রে আপনার মেইলে আপনি কোডটি পাবেন)

  • ভেরিভাই হয়ে গেলে আপনার মেইলে SSL কোড চলে আসবে। তখন কোডটি আপনার সিপ্যানেল থেকে Install SSL এ গিয়ে বসিয়ে দিলেই চলবে।

আপনার ওয়েব সাইট এখন SSL সার্টিফিকেট গ্রিণ সিগনাল শো করবে।

 

বিঃদ্রঃ আপনি SSL ইনস্টল করার পর http অবশ্যই https এ রিডাইরেক্ট করে দিবেন।

 

 SSL  নিয়ে আরও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে বা সাহায্যের প্রয়োজন হলে কমেন্টে জানান অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Related Blog Post

Create, collaborate, and turn your ideas into incredible products with the definitive platform for digital design.

SEO Roadmap: Server Infrastructure & Strategy Guide

12 December 2025

SEO Roadmap: Server Infrastructure & Strategy Guide

Boost your 2026 rankings with our ultimate SEO guide. Learn how to optimize for AI agents using NVMe SSDs, LiteSpeed Cac

Read More
The Unnoticed Significance of Your Web Hosting Provider affect

05 May 2025

The Unnoticed Significance of Your Web Hosting Provider affect

For website success you need a good hosting company who give you proper service. Toshost ensure your every needs fulfil.

Read More

Got a question!

Contact us at