জনপ্রিয় ৫টি পিএইচপি ফ্রেমওয়ার্ক

ফ্রেমওয়ার্ক কি?

ফ্রেমওয়ার্ক (framework) হচ্ছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা সফটওয়্যার বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নের জন্য ব্যাবহার করা হয়।

পিএইচপি ফ্রেমওয়ার্ক (Framework) কি?

পিএইচপি (framework) ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে এমন একটি মৌলিক প্লাটফর্ম যা সকল ধরনের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন নির্মান ও উন্নয়নের জন্য ব্যাবহার কয়া হয়। চলুন জেনে নিই জনপ্রিয় ৫ টি পিএইচপি ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে।

Laravel

Laravel

Laravel ২০১১ সালের জুন মাসে প্রথম রিলিজ হয়। লারাভেল তার গতি, এক্সটেনশন ক্ষমতার সাথে কার্য সম্পাদনের জন্য ২০১৭ সালে এসে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এটি ফ্রী এবং ওপেন সোর্স পিএইচপি ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক। এটি মুলত ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নের জন্য তৈরি হয়েছে  আর এর জন্য MVC Pattern ব্যাবহার করা হয়। লারাভেল এ এমন একটি টুল বক্স রয়েছে যা কোডিং করার সময় এরর সমুহ কে ফিক্স করতে সাহায্য করে। এটির কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট রয়েছে। যেমনঃ ORM, painless routing system, restful controllers, class auto loading, powerful queue library, simple authentication ইত্যাদি। লারাভেল এ একটি সুন্দর সিন্ট্যাক্স রয়েছে যা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টকে সহজ করে তোলে, এবং প্রজেক্টের বেশির ভাগ অংশে ব্যবহৃত কাজ গুলোকে সরল ভাবে করতে সাহায্য করে। লারাভেল এ বিদ্যমান reuses উপাদানের সাহায্যে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন কে আরো গঠন মুলক ভাবে উন্নয়ন করা সম্ভব।

CodeIgniter framework
CodeIgniter

CodeIgniter

CodeIgniter এমন একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার যার মাধ্যমে খুব দ্রুত গতিতে পিএইচপি সহ যে কোন ওয়েব সাইট নির্মান এবং এর উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব। Ellislab সফটওয়্যার কোম্পানি কর্তৃক এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এবং ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে প্রথম ব্যাবহার উপযোগী করে CodeIgniter কে রিলিজ করা হয়। পরে British Columbia Institute of Technology এটির উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করে। এটির সাহায্যে প্রোগ্রামার রা একটি উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে গতিশীল এবং কাস্টম ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন। এটি এমন একটি সম্ভাব্য কাঠামো যার মাধ্যমে হোস্টিং আপলোড করে ইন্সটল করা যায়। যার জন্য অতিরিক্ত কোন কমান্ড লাইন বা সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হয় না। CodeIgniter এ unit testing, form validation, email, sessions, full page caching এর জন্য বিল্ট ইন লাইব্রেরী রয়েছে।

Symfony framework

Symfony

Symfony হচ্ছে পিএইচপি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক। যা অনেক গুলো পুনরায় ব্যাবহারযোগ্য পিএইচপি কম্পোনেন্টস ও লাইব্রেরী এর সমন্বয়ে গঠিত। ফেবিয়েন পেটেনসিয়ার (Fabien Potencier) এর কর্তৃত্বে ২০০৫ সালের ২২ এ অক্টোবর প্রাথমিক ভাবে Symfony পিএইচপি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক হিসেবে রিলিজ হয়। Symfony contributor’s ও SensioLabs পরে এটি ডেভেলপ করে। Symfony ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে দ্রুত কার্য সম্পাদন করে। এবং পুনরাবৃত্তিমূলক কোডিং ফাংশন প্রতিস্থাপন করে। এছাড়া ও শক্তিশালী ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির ক্ষেত্রে এটি ডেভেলপার দের কনফিগারেশন এর বাহিরে ও নিয়ন্ত্রন কাজ পরিচালনা করে। Symfony এর মুল সুবিধা হচ্ছে এটি একটি একাধিক সমর্থিত ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক। এটি পিএইচপি লাইব্রেরী নিয়ে গঠিত হয়েছে  যা forms creation, objects and templates configuration এর জন্য কাজ করে।

Yii framework

Yii

Yii একটি ওপেন সোর্স, object oriented, component-based MVC পিএইচপি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক (framework)। এর সাহায্যে পিএইচপি সহ সকল ধরনের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন নির্মান করা সম্ভব। এটি এমন একটি component ও support architecture এর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে যা CMS, e-commerce projects, restful web services, এর জন্য উপযুক্ত। Qiang Xue ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে Yii উদ্ভাবন করেন। Yii একটি পূর্ণাঙ্গ স্ট্যাক ফ্রেমওয়ার্ক, যা MVC Pattern প্রয়োগ এর মাধ্যমে query builders, multi-tier caching support, Active Record for both NoSQL and relational databases, Restful API development support, প্রধান করে।

phalcon framework

Phalcon

Phalcon মডেল-ভিউ-কন্ট্রোলার প্যাটার্নের উপর ভিত্তি করে একটি উচ্চ কার্য ক্ষমতা সম্পন্ন পিএইচপি ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক (framework)। যা ২০১২ সালের নভেম্বর মাসের ১৪ তারিখে প্রাথমিক ভাবে রিলিজ হয়। এটি এমন একটি MVC Pattern সম্পন্ন উচ্চ কার্য ক্ষমতাশীল ফ্রেমওয়ার্ক যা C এবং Zephir লেখার সময় ওয়েব সার্ভার এর এক্সটেনশন হিসেবে বাস্তবায়িত হয়। Phalcon অনেক বড় ধরনের security system, multi-purpose autoloader, resource management, translation caching এর সমন্বয়ে গঠিত।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পিএইচপি ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে সফটওয়্যার ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা অনেক সহজ।

যেমনঃ

  • সময় কম খরচ হয়।
  • বার বার কোড তৈরি করা লাগেনা।
  • দ্রুত অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা যায়।

এছাড়া ও এটি ডেটাবেসের সাথে সংযোগ সহজ করে তোলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *